মেসবাহ য়াযাদ'এর ব্লগ
আমার চাকুরী জীবন
ইত্তেফাকে বিজ্ঞাপণ দেখে হঠাৎ করে দরখাস্ত করে বসলাম। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ইন্টারভিউ কার্ড হাতে এল। লিখিত আর মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে চাকুরীটা পেয়ে গেলাম। পোস্ট ছিল মেডিকেল-কাম সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ। পোস্টিং চিটাগাং। ৯০ সালের গোড়ার দিকের ঘটনা। ঢাকার বন্ধুদের আড্ডার মায়া ছেড়ে জীবনের প্রথম চাকুরীতে জয়েন করলাম। আমার অফিস ছিল আইস ফ্যাক্টরি রোডে। কাজের এলাকা ছিল- তিন পার্বত্য জেলা। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি আর বান্দর
মানুষের সৌজন্যতাবোধ !
বিষ্যুদবার সকাল ১১ টার দিকে বাসা থেকে ফোন এল। সাধারণত বাসা থেকে ফোন করলে লাইন কেটে কল ব্যাক করি। কখনো সখনো কল করতে ভুলে যাই। ক্যানো জানি সেদিন কল রিসিভ করে ফেল্লাম। ওপাশে একাধিক মানুষের চিৎকার শুনতে পেলাম। কয়েক সেকেন্ড লেগে গেল বুঝতে ! ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলছে, বাবু খাট থেকে পড়ে গেছে।
ততধিক চিৎকার করে আমি জানতে চাইলাম, বাবু এখন কোথায় ?
বাসায়...। আমি আসছি... বলে লাইন কেটে দিলাম।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্যাদি
প্রচলিত পাসপোর্টের মতোই দেখতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। কেবল পার্থক্য হলো এই পাসপোর্টে থাকা তথ্য এয়ারপোর্টে থাকা কম্পিউটার পড়তে পারে । দেশের বাইরে যেতে বা প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় এয়ারপোর্টের ভোগান্তি এড়াতেই চালু করা হয়েছে এই পাসপোর্ট। এপ্রিলে চালু করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও যারা আগের পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন, তাঁদের পুরোনো পাসপোর্টেই চলবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত।
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের এ আড্ডা তোমাদেরকে উৎসর্গ করলাম...
গতরাতে ছোট বোন সুলতানা শিপলু জানালো- চিটাগাং থেকে আমাদের পুরোনো দুই বন্ধু ঢাকায় এসেছে। স্যরি, ভুল বললাম। এক জন এসেছে, অন্য জন দীর্ঘদিন থেকে ঢাকাতেই থাকে- আমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করে না। সেটা তিনি না করতেই পারেন। তিনি আবার ডাক্তারও বটে। সে যাই হোক, এক সময় আমরা সবাই ভোরের কাগজের পাঠক ফোরাম আর প্রথম আলোর বন্ধুসভা নামক পাতা দুটো মাতিয়ে রাখতাম। সেই আমাদের কেউ কেউ আজ সংসারে ব্যস্ত। কেউ মোটামুটি লেখাজোক
এই নগরের প্রেসক্লাবে যেতে চেয়েছিলেন কোটালীপাড়ার নির্মল সেন...
সূর্য সেনের সহযোগী, আপসহীন সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া বাম রাজনীতিবিদ নির্মল সেন। কৃষক-শ্রমিক সমাজবাদী দলের প্রধান এ মানুষটির সাংবাদিকতার জীবন শুরু হয় ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক হিসেবে। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন তিনি। দৈনিক পাকিস্তানের নাম একসময় হয়ে যায় দৈনিক বাংলা। সহকারী সম্পাদক নির্মল সেন। উপসম্পাদকীয় লিখতেন অনিকেত নামে। ১৯৭৪ সালে তাঁর আলোচিত উপসম্পাদকীয়
আজ রোদ্দুরের ১০ পূর্ণ হলো...
রোদ্দুর। আমার ছেলে। চার ক্লাসে পড়ছে। গবর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে। একদম বাপের ন্যাওটা। বাবার যা কিছু তার ভালো লাগে তা সে অনুকরণ করবে। শত বাধা দিলেও শুনবেনা। বাবা পাকিস্তানের নাম শুনতে পারেনা, সেও না। পাকিস্তানী কোনো জিনিস জ্ঞানত সে স্পর্শ করেনা। বাবার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। রোদ্দুরেরও প্রিয়।
পুরানো কাসুন্দি (উৎসর্গঃ ব্রা-জিল সাপোর্টার ভাই বেরাদারগো...)
পুরানো কাসুন্দি : ১
এলেবেলে বিশ্বকাপ ও আমার সমবেদনা
ক) আমগো এক বছরের সিনিয়র আপা ছিলেন কোহিনুর। এসএসসির টেস্টে এলাউ হন নাই। আমরা জিগাইছিলাম- আপা কোন্ কোন্ বিষয়ে পাশ করেন নাই ? আপায় কৈলো খালী বাংলা, ইংরাজী, বিজ্ঞান আর অংকে পাশ করি নাই...। পরে জানা গেলো কোহিনুর আপায় খালী বাংলা ২ সাবজেক্ট, ইংরাজী ২ সাবজেক্ট, বিজ্ঞান আর জেনারেল অংকে ফেল করছে !!
শাশ্বত সত্য কে মনে আছে ?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মরণব্যাধি অ্যানকোলাইজিং স্পন্ডিলাইটিস রোগে আক্রান্ত শাশ্বত সত্যর কথা মনে আছে ?
অনেকেই ব্রা ভালোবাসে
ছড়া লেখা ব্যায়াপক জটিল কাম।
যারা লেকতে পারে তাদেরকে শ্রদ্ধা। কিন্তু সমস্যা হৈছে-
ছড়া যদি লেখা হয় আর্জেন্টিনারে নিয়া... তাইলে মেজাজ
বিগড়াইয়া যায়। তাই একটা ছড়া লেখনের অপচেষ্টা করলাম...
অনেকেই ব্রা ভালোবাসে
আমরা তা বাসিনা,
অনেকের প্রিয় খালেদা
কারো আবার হাসিনা।
আমরা আ ভালোবাসি
মেসির আমরা ভক্ত,
আমাদের দলের খেলার সময়
টগবগ করে রক্ত।
সময়টা বড় বেশি খারাপ যাচ্ছে
সময়টা বড় বেশি খারাপ যাচ্ছে। গত বুধবার বিকেলের পর থেকে আমি ছিলাম নারায়ণগঞ্জে। ছোট বোন আর ছোট ভাইয়ের বৌও গিয়েছিল সেখানে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার আমার শ্যালকের বিয়ের রিসেপশন। এর আগের শুক্রবার বিয়ে হয়েছে।
বুধবার
বুধবার রাতে টিভির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠেছি। বেগুন বাড়িতে একটি ৫ তলা বাড়ি হেলে পড়েছে। কয়েকজন নিহত হয়েছে। আহতদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
বিদায় ব্লগ, বিদায় নেট, বিদায় ঢাকা !
ঢাকা ছাড়ছি আমি। আজ হাফ বেলা অফিস করে তারপর চলে চাচ্ছি। কাল থেকে অফিস করবো না। আমার একমাত্র বৌয়ের দুইমাত্র ছোট ভাইয়ের শাদী মোবারক হয়ে গেছে গত শুক্রবার। আগামী শুক্রবার বৌভাত অনুষ্ঠান। সে পরিবারের একমাত্র জামাই হিসেবে বৌভাত অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিত থাকাটা ফরজে আইন। তাই আজকেই চলে যাচ্ছি ঢাকা ছেড়ে। সঙ্গী হিসাবে আমার হলুদ মোটর সাইকেল। আশা করছি, পথে কোনো সমস্যা না হলে বিকেল নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছাবো। সঙ্গ
নিজের সম্পর্কে কে কী ভাবেন
এবি'র ব্লগারদের মধ্যে (যাদেরটা পাওয়া গেছে) নিজের সম্পর্কে কে কী ভাবেন, আসুন একনজরে দেখে নেই :
১. আমার বলার কিছু ছিলনা ... সাঈদ
২. জন্ম বাংলাদেশে । জন্মভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন ছয় বছর যাবৎ ... দুরের পাখি
৩. যতবার আলো জ্বালাতে চাই নিভে যায় বারেবারে,
আমার জীবনে তোমার আসন গভীর আন্ধকারে।
যে লতাটি আছে শুকায়েছে মূল
কূড়ি ধরে শুধু নাহি ফোটে ফুল
আমার জীবনে তব সেবা তাই বেদনার উপহারে।
ফিরে আসার পর মুসাকে নিয়া যা যা করা যাইতে পারে...
কাল রাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে আমরা কয়েকজন মিলে মুসার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করি। আমরা মানে, মুসার কাছের বন্ধুরা। এরমধ্যে ছিলো- অনিক খান, সুমন পাটওয়ারী, নওরোজ ইমতিয়াজ, জিয়া ইসলাম, সীমু নাসের, ফখরুল আবেদীন মিলন এবং আমি। নিরাপদে মুসা এভারেস্ট থেকে নেমে বাংলাদেশে আসার পর তাকে নিয়ে যা যা করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়। আমরা চাই, মুসার সারা শরীর নিয়ে ব্র্যান্ডিং করবো। ইতোমধ্যে বিভি
২৮ দিনের অন্য রকম জিন্দেগী (আখেরী পর্ব)
নাইট কোচে করে রাত ১ টার দিকে এসে মিলনদের বাড়িতে পৌঁছলাম। খালাম্মারে কৈলাম, ভাত দিতে। বাসায় যা ছিলো তা দিয়া খালাম্মা ভাত দিলেন। খাইতে বইসা টের পাইলাম, ম্যালা ক্ষিধা পাইছে। বিয়া করুম এই টেনশনে সারাদিন বিড়ি ছাড়া আর কিছু খাই নাই। হায়রে বিয়া...। মাইয়াটা এইভাবে আমারে ধোকা দিতে পারলো ?