ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
গোল্ডলিফের প্যাকেট এবং শীত
শীতের শুরুর কোনও একটা সন্ধ্যায় চায়ের
কাপে টুংটাং আওয়াজ বলে দেয় , বাহিরের
তাপমান
পাতলা চাদরটা ভালোমতো জড়িয়ে নেবার
মতোই কমছে।
রাস্তা পার
হতে গিয়ে অনিচ্ছুক শীতল
হাতটা অত্যুতসাহী এক তপ্ত মুঠোয়
বাঁধা পড়তে গিয়েও পড়েনা। হেমন্তের এই
শেষপ্রান্তের যাযাবর বাতাসে উষ্ণতার
বড্ড অভাব।
সোডিয়ামের বাতিঘর আর ধোঁয়াশার
বিভ্রমে ঝরাপাতার
দলে মিশে যাওয়া একটা পাতার গান
আলাদা করা যায় না।
এই শহরে মমতাময় কোনও শীত আসে না!
এখানে শীত পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটের
অপরিচিত প্রতিবেশির মতো মুখ
ঘুরিয়ে হাঁটে!
ফুটপাতের শীতবস্ত্রের
মেলার দিকে লোভাতুর
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা শতছিন্ন পোশাকের
' অভদ্র ' বাচ্চাটাকে " ছিঃ! কী নোংরা!"
বলে পাশ কাটায় শীত , শপিংমলের
পাশে বিএমডব্লুকে পার্কিং লট
ছেড়ে দিতে!
শীত বেঁচে থাকে শুধু ফায়ার প্লেসে , রুফটপ
বারবিকিউ পার্টি আর উইন্টার স্পেশাল
খুব প্রিয় মানুষদের জন্মদিনে!
যদিও আজ বাংলাদেশে খুব একটা সুখের সময় না। প্রথমত আজ বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস। পুরো ৭১ জুড়েই মুলত বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড ঘটেছে নারকীয় কায়দায়। এই দিনে অনেককে ধরে নিয়ে গেছে শেষ মরণ কামড় হিসেবে। যে সব বুদ্ধিজীবিরা শহীদ হয়েছেন তারা বেঁচে থাকলে দেশটা অন্যরকম হলেও হতে পারতো, এই বিশ্বাস আমার সব সময়ের। প্রত্যেকটা শহীদ বুদ্ধিজীবিকে নিয়েই যখন পড়ি মনে হয়, এরকম মানুষের কত দরকার ছিল এখন। কিন্তু হায় তারা সব বছরের ১ দিনের স্মৃতির জন্যই আমাদের মনে বেঁচে থাকে। শুধু সেইসব বুদ্ধিজীবি না এখনো সাম্প্রতিক সময়ে যারা গুম হয় কিংবা রাষ্ট্রীয় বাহিনী অথবা সন্ত্রাসীর হাতে খুন হয় তাঁদের সবার পরিবারের জন্য ভীষন মন খারাপ হয়। সারা জীবন তপস্যা করলেও তো সেই পরিবারের কাছে নিহত স্বজনরা ফিরে আসবে না আর, এটা কত বড় শোকের তা আমরা বুঝবো না। তাই তা নিয়ে লিখে আমার আর কি হবে। এমনিতেও লেখা নিয়ে বড় চিন্তায় আছি। নোটবুকের মাদারবোর্ড নষ্ট, আজ গ
অর্থহীন গল্প
সবারই একটা গল্প থাকে। আছে। তাতে হিরো থাকে,
ভিলেনও। প্রায় ক্ষেত্রেই হিরো কিংবা ভিলেন দুটোই
আর কেউ না। সিম্পলি যার যার গল্প সে সে।
বই কিংবা ফিল্মের গল্পগুলো যেমন মেঘের
মতো আকাশপট নিয়ে বৈচিত্রে ভরা আবার পুনরাবৃত্তির
ভারে নুয়ে থাকে, আমাদের কাহিনীও অনেকটা তেমন।
কারোটা খুব খাপছাড়া, খেপাটে পাগলামিমাখা,অনে
কেরটা ক্লিশে,কমন,রিপিটেড শিট।
যেমনই হোক শেষতক কিছুই যায় আসে না।
হ্যান্স এন্ডারসন বলেছিলেন "জীবনটাই রূপকথা"।
রূপকথায় যেমন প্রায়
অবশ্যম্ভাবী যে হ্যাপি এন্ডিং থাকবেই,পাঠক
তা আগে থেকেই জানে, তেমনি আমাদের জীবনকথার
সবথেকে শেষের পাতায় যে মৃত্যু লেখা আছে এটাও
জানা।
তাতেও কিছু যায় আসে না। মানুষ বাঁচে বেঁচে থাকার জন্যই।
হাসে,কাঁদে,ভালোবাসে,ঘৃণায় মুর্ছায়, সবই
বেঁচে থাকবে বলে।
কোনো বই বা মুভি পড়ে পাঠক আনন্দ পায়, কারণ
বইটা বা ফিল্মটা সুখপাঠ্য কিংবা সুখদর্শনীয় ছিল।
ভাঙাচোড়া দিনকাল
গত শুক্রবার যখন সুর্য মেঘের আড়ালে ঢাকলো সেদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রী, বাংলাদেশের শীতে এমন রোদ্দুরদিনে গায়ে হালকা চাদর জড়িয়ে তরিয়ে তরিয়ে সুর্যালোক উপভোগ করা যায়, অবশ্য এখানে এখন তেমন সুযোগ নেই। দরিদ্র দেশ থেকে আসা শিক্ষাশ্রমিক আমরা, শ্রমের বিনিময়ে সনদ অর্জন করি, কেউ দেশের নানাবিধ অস্থিরতায় আড় অন্য অধিকাংশ সবাই কিছুটা স্বচ্ছলতা এবং ভালো কাজের পরিবেশের জন্যে বেশ লম্বা একটা জীবন শিক্ষাশ্রমে কাটিয়ে দেন।
গবেষণার আলাদা আনন্দ আছে, যৌক্তিক কল্পনার সাথে কিছুটা উচ্চাশা নিয়ে কোনো একটা পরিকল্পনা তৈরী করা এবং যন্ত্রপাতি হাতিয়ে সে পরিকল্পনা মূর্ত হতে দেখে যেমন তৃপ্তি পাওয়া যায়, প্রায় নিয়মিত ব্যর্থ প্রচেষ্টাগুলোর কষ্ট আর দুর্ভোগ ভুলিয়ে দেয় সেটুকু।
ফিরে আসার গল্প
২০১১ সালে এখানে একাউন্ট খুলেছিলাম। কিঞ্চিৎ পছন্দ হয়েছিল ব্লগটি। লিখা শুরু করার আগেই গোপন চাবি মানে পাসওয়ার্ড হারিয়ে গিয়েছিল।
কিছুদিন আগে গুগলে নিজের লিখা একটা কবিতার দুইলাইন সার্চ দিতে গিয়ে দেখি সবার উপরে গুগল আমার এই ব্লগ খুজে বের করে এনেছে। গুগলের প্রতি কৃতজ্ঞ হলাম।
ফেসবুকে এটা নিয়ে একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম। যাই হোক যে কবিতার জন্য এই ফিরে আসা সেই কবিতাটা এখানে প্রকাশ না করলে বড় বেশী বেমানান হবে,
যাযাবরের পথ চলা সারাবেলা।
যাযাবরের পথ চলা সারাবেলা
সহযাত্রী মেলার আশা নেই আর এবেলায়
জীবনের জীবন্ত চেতনারা অনেক আগেই গনধর্ষিত
তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে-জীবনের শুরু হয়েছিল বড্ড এলোমেলো
এখন বুঝি, মূর্খ শিক্ষকদের বলে যাওয়া জ্ঞানের কথাগুলো ছিল
সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির মত অর্থহীন
আমিও পালিয়েছিলাম বেশ ঘটা করে সম্রাট যাযাবরের বেশে।
What A Wonderful World!
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমার লুইস আমস্ট্রংয়ের এই শিরোনামের গানটার কথা মনে পড়লো। জলদি ঘুম থেকে উঠেই গানটা শুনলাম টানা। মাদাগাস্কার মুভির কারনেই এই গানটা আমার শোনা। যতবার এইসব টুকটাক অসুখ বিসুখ থেকে শরীর ভালো হয়, ততবারই আমি এই গানটা গাই,যদিও স্মৃতিভ্রষ্টতার কারনে আর লিরিক মনে থাকে না। ইংরেজী গানের কথা মনে রাখা বড়ই কষ্টের, এই বয়সে এত কষ্ট করতে মনে চায় না। তানভীর নামের এক বন্ধু ছিল ক্লাস নাইনের, কই থেকে নানান পদের ইংরেজী গান মুখস্থ করে এসে আমাদের কাছে ঝেড়ে দিত, আমরা অবাক হতাম। কারন বাংলা গান শুনে মনে রাখা খুব কঠিন কিছু না, কিন্তু বইদেশী ভাষার গান টেপরেকর্ডারের মতো গেয়ে চলা যথেষ্ট কামেল ব্যাপার। বিবিসি বাংলায় মেহের আফরোজ শাওনের ইন্টারভিউ হচ্ছিলো শুনলাম অনলাইনেই। সেখানে স্যার শাওনকে টেপরেকর্ডার বলে ডাকতেন, কারন শাওন নাকি এক গান জাষ্ট একবার শুনেই সেরকম ভাবে গেয়ে ফেলতে পারতেন। আমি মনে মনে হাসছি
টুকিটাকি ১
ক্ষমতা আদতে তথ্য নিয়ন্ত্রনের অধিকার। সম্রাট তার শক্তিশালী সেনাবাহিনী দিয়ে সম্রাজ্য বিস্তার করতে পেরেছেন কারণ তার রণযাত্রার রসদখরচ জোগাতে গিয়ে নিজের জীবনস্পৃহা হারিয়ে ফেলা সাধারণ মানুষগুলো যে যুদ্ধযাত্রার জন্যে বাড়তি কর দিতে অনাগ্রহী, তারা যে যুদ্ধবিগ্রহের হয়রানি এড়িয়ে শান্তিতে জীবনযাপন করতে চায় এই সত্যটা তিনি তার সেনাপতি আর সৈনিকদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে পারেন। এত বিশাল সম্রাটও তার খুনে সেনাবাহিনীকে ভয় পান, তাদের ভেতরে গোপনে গোয়েন্দা অনুচর লুকিয়ে রাখেন- সেনা কর্মকর্তা আর সৈনিকদের অসন্তোষের তথ্য সংগ্রহ করেন, এবং নিজের ক্ষমতায় সেই তথ্যের ব্যবহার করেন। তথ্য ব্যবহারের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি জানেন কখন কোন তথ্যের জন্যে প্রকাশ্যে প্রাণ সংহার করতে হবে আর কোন তথ্যটা শুধু একান্তে বলতে হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার দক্ষ ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর প্রতিটা সদস্য বুঝে যায় নিজের নিঃশ্বাসের শব্দেও যদি কোনো অমান্যত
'সহজ কথা যায় না লেখা সহজে..' [আবোল তাবোল - ১৭]
কেমন আছো?
- এইতো, মোটামুটি। অথবা, ভালো নেই।
ভালো আছি, সে মিথ্যে হলেও মানুষ সহজেই মেনে নেয়।
অথচ, ভালো নেই বললেই অন্যদের ভালো থাকাতেও সমস্যা দেখা দেয়।
ভালো লাগে না।
লেখো না কেন?
- মন ভালো নাই, মন ভালো থাকে না।
মাঝে মাঝে ভুলে ভালো হয়ে গেলেও,
নিজের মাঝেই ভুল বোঝাবুঝিতে তা ভুলে যেতে সময় লাগে না।
অথবা, ভালো থাকার মত তেমন কিছু হয় না আর।
হলেও, তা শুরু হতে হতেই শেষ।
দিনকাল বড্ড বেশি স্লো হয়ে গেছে আজকাল। বলতে গেলে থেমেই আছে সে-ই কবে থেকে, মনে নেই। রিস্টার্ট দেওয়ার চেষ্টায় আছি অনেকদিন ধরেই, হচ্ছে না কিছুতেই।
ছুটি দরকার একটা, নিজের কাছ থেকেই – অথবা, এই বৃত্তবন্দি সময় থেকে। তাও হচ্ছে না। যার কাজ নেই, তার হাতের কাজ কখনই শেষ হয় না।
নিজের মত করে থাকতে পারাটাও ভালো থাকা। তাও হয় না সবসময়।
অসময়ে কথা শোনানোর সুযোগ হাতছাড়া করার ভুল করে না বলতে গেলে কেউই।
কেউ চায় না দলছুট শূন্য হোক, এই বাস্তব সব্বাই আঁকড়ে থাক!
খোশমেজাজেই ছিলাম। মামা নেই বাসায়, নেটের স্পিড নেই, ওলোর প্যাকেজ নাই, পকেটে টাকা নাই, তাই টিভি ভরসা। কিন্তু সবকিছুকে স্পয়েল করে দিতে ফেসবুকের কোনো বিকল্প নাই। সেখান থেকেই জানলাম, খুলনা নেভী স্কুলের সন্ধ্যা ম্যাডাম মারা গেছেন। মনটা উদাস হলো। টাইম ট্রাভেলে চলে গেলাম সতেরো- আঠারো বছর আগের দুপুর গুলোয়। ক্লাস ফোরের পরিবেশ পরিচিতি সমাজের মতো নিরীহ বিষয়কে আমাদের জন্য দুর্বোধ্য করে তুলতেন তিনি। লাইন বাই লাইন পড়া ধরতেন, এবং পড়া না পারলে শাস্তি বেঞ্চের উপরে কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকো। সে এক কঠিন সময়, ম্যাডাম খাতায় কত কি ঠিক লিখেও নাম্বার দিতেন ৬৫-৬৬, কাউকে বা করাতেন ফেইল। আমাদের প্রথম স্থানের অধিকারী বর্তমানে ফ্লোরিডার এক ভার্সিটির টিচার শাহারিয়ারের নোট পাবার জন্য সবার তখন কি আকুলতা!
না লেখার মতো লেখা
অনেক দিন ধরেই লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু লেখা হচ্ছে না। প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগিয়ে একটা কিছু লিখেছিলাম, লেখাটা শেষ হওয়ার আগেই উবে গেলো, ব্যাকস্পেস, ফ্রন্টপেজ সব কিছু ঘুরে দেখলাম এক ঘন্টার মানসিক পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত বৃথা গেলো। ল্যাপটপে যারা দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে লিখতে পারে তারা ভীষণ দক্ষ মানুষ, আমার মোটা মোটা আঙ্গুল তার থ্যাবড়ানো তালুতে কষে থাপ্পর দেওয়া যায় হয়তো কিন্তু ল্যাপটপের কোমল স্পর্শ্বকাতর পরিসরে দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে কিছু লেখা সম্ভব না। ল্যাপটপে লেখাটা অনেকটা অফিসটাইমে ভুল করে ভীড় লেডিস বাসে বিশাল ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে উঠে পরার মতো, একটা অঘটন ঘটবেই- সেই অঘটনের সময় গুণে সময় কাটানো।
কিছুটা ভাবনার খোড়াক...
সোবাহান সাহেব, তার স্ত্রী, দুই কন্যা, অবিবাহিত এক শ্যালক, ভাড়াটিয়া বিপত্নীক ভদ্রলোক এবং তার দুই সন্তান, আর ঘরের দুজন কাজের লোক নিয়ে একটি পাগলাটে পরিবার। যে সমাজে ঘরে বিবাহযোগ্যতো দূরের কথা, কন্যা সন্তান থাকলে সে পরিবারের পুত্র সন্তানের বয়স যাই হোক আগে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তার পরেই ছেলের বিয়ে এবং কন্যা সন্তান মানেই যেন এক ধরণের দায়, এমন মতবাদের সমাজে বড় মেয়ে রেখে ছোট মেয়ের বিয়ে দেয়ার মত দৃষ্টান্ত স্থাপণ করে এই পরিবার তাও আবার নব্বইয়ের দশকে। এই সমাজে পুরুষদের যতই বয়স হোক না কেন বিয়ের বাজারে তারা সব সময়ই দামী। অপরদিকে মেয়েদের বয়স বিশ পার হলেই সমাজে তথা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শুরু হয় কানা ঘুষা। কিন্তু এই পরিবার ব্যতিক্রম, তারা এমনটি ভাবেন না।
আমার প্রথম অভিব্যক্তি
ধন্যবাদ দিতে হয় আমরা বন্ধু টীমকে আমাকে এই পৃষ্ঠায় লেখালেখির জন্য অনুরোধ করে ইমেইল করার জন্য।আমি লেখক নই তবে আড্ডাবাজ।প্রচন্ড আলসেমি আমার।মনে হয় অনেক কিছু লিখে ফেলব , কিন্তু মনে এত আবেগের আবির্ভাব ঘটে যে শেষ পর্যন্ত লেখার খেই হারিয়ে ফেলি।এভাবে চলতে থাকলে তো আর কোন দিন লেখাই হবে না।তাই "আমরা বন্ধু" প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করব ভাবছি।তাইলে হয়ে যাক শুরু "" লেখালেখি""।অতঃপর শুরু....................
ঈদের আনন্দ, আনন্দের ঈদ
দেখতে দেখতে আরেকটা ঈদ চলে এসেছে। ঈদ মানেই বিশাল আনন্দ।বিশাল উৎসব। অথচ আমার কাছে কোনো উৎসবই মনে হচ্ছে না। কারণ ঈদ মানেই আমার কাছে বাড়ি যাওয়ার আনন্দ। বিশেষ করে কোরবানের ঈদ।
টিকেট যুদ্ধে পাশ করার পর গাড়ির জন্য অপেক্ষা, অপেক্ষা, অপেক্ষা...।দীর্ঘ যানজট, ধূলাবালি,প্রখর রোদ,মানুষের ভিড়,সব কিছু ভুলে যেতাম প্রিয়জনদের দেখলে।পথের ক্লান্তি মুছে যেতে একটুও সময় লাগতো না।কী যে খুশি লাগত!! খুশির সেই অনুভব মুখে বলে কিংবা লিখে বোঝানোর সাধ্য আমার নাই।যেদিন বাড়ি যেতাম তার আগের রাত থেকেই শুরু হয়ে যেত আমদের ঈদের আনন্দ। বাড়ি যাওয়া উপলক্ষ্যে ব্যাগ গোছানোর আনন্দ, আর খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে এই উত্তেজনায় দেখা যেত বেশির ভাগ সময়ই রাতটা নির্ঘুমই কেটে গেছে।
সবকিছু অথবা কিছুই- না!
শিরোনামটা আমার মাথায় থেকে আসে নাই। 'লাতিন আমেরিকার গল্পসমগ্র' নামে একটা বই কামাল ভাই কিনে দিয়েছিলেন, এই বই মেলায়। সেখানে হোর্হে লুইস বোহের্সের গল্প। বইটা অসাধারন। দারুন সব গল্প, যার ভাষা সহজবোধ্য না, কিন্তু গল্পের এমন অদ্ভুত ছন্দময়তা, মানব মনের নানান অনুভুতির এত বিচিত্র বয়ান তা পড়তে পড়তে শুধু অবাক লাগে। অনেক কিছুই হয়তো বুঝে উঠতে পারি নি, তাও বইটা আমার খুব প্রিয়। বইটা কাগজ প্রকাশনের একটা দারুন উদ্যোগ। আজ ভোরে বাড়ীতে যাবো। তাই লিখতে বসা। জামালপুরে ল্যাপটপ নিতে পারবো না, মোবাইল নষ্ট প্রায়, মন মেজাজ ভালো না, অগ্রিম ট্রেনের টিকেট কাটতে পারি নাই, বাসের জন্য মহাখালী যেতে হবে ভোর বেলায়। ভালোই লাগছে না এবার বাড়ীতে যেতে। শুধু বাবা মা আছে বলেই যাওয়া, নয়তো আমার ঢাকা ছেড়ে এখন জামালপুর তো দূরে থাক, প্রিয় শহর চিটাগাং যেতেও ইচ্ছে করে না। তার সাথে সাথে ব্লগেও লেখা হবে না, যতদিন বাড়ীতে থাকা হবে। কি যে কষ্টে
এইসব বাজার-সদাই
বিষয়টা এমন না যে আমি জীবনেও বাজার করি নাই।
আমার বাজার-সদাইয়ের দৌড় কালে ভাদ্রে চিনি-লবন-সাবান পর্যন্ত, তাও আবার নির্দিষ্ট পরিচিত দোকান থেকে যেখানে দামাদামির কোন বিষয় নাই ঠকার কোন চান্স নাই।
তবে তরি-তরকারী মাছ-মাংস কেনার অভিজ্ঞতা আমার নাই বললেই চলে। সেগুলো সর্বদা আব্বার ডিপার্টমেন্ট। আব্বা আমাদের উপর ভরসা করতে পারে না এইগুলোর ব্যাপারে অথবা হয়তো নিজে যাচাই বাছাই করে কিনতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আব্বা সব সময়। কারন বাজার এনে সব সময়ই আম্মা বা ইদানিং বউমাদের বেশ আগ্রহ নিয়ে গল্প করেন ঢেরসটা কিভাবে চিনতে হয়, ডাটাটা কিভাবে বুঝতে হয়, আজ পর্যন্ত কেউ বুড়ো শশা গছিয়ে দিতে পার নাই কেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।