ঘুরন্তিস ব্লগ; সুন্দরবন
গোপন সূত্রে খবর পাইলাম এবির আকাশে বাতাসে পিকনিকের গন্ধ ভাইস্যা বেড়াইতেছে। তাই মনে হইল পাব্লিকেরে আরেকটু দিলজ্বলে করনের এইটাই উপযুক্ত সময়।
সো যারা যারা জ্বলতে চান তারা নিজ দায়িত্বে জ্বলতে পারেন
সুন্দরবনের পুরো ট্যুরটাই ছিল একটা ডাবল ইঞ্জিন জাহাজ দিয়ে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রথম দিনই চরম অসুস্থ হয়ে পড়ি তাই আমার গন্ডিটাও সেই জাহাজের ডেকে-ই ছিল। বন্ধুরা যখন তুমুল বৃষ্টিতে বনে বাঁধন হারা হয়েছিল তখন আমি আমার কেবিনে বসে গায়ে মম্বল জড়িয়ে জানালা দিয়ে জলের সাথে পাতার কোলাহল শুনি। আর মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ছুঁয়ে দিচ্ছিলাম আনমনে....
সে দিন শেষ বিকেলে বৃষ্টি বিধৌত বনে রঙধনু হেসেছিল
সুন্দরবনকে আঁকড়ে থাকা অসংখ্য নদীতে ওরা জীবিকা খোঁজে
আমরা ডিঙ্গি নৌকায় করে একটা শাখা নদী দিয়ে বনের ভেতর দিকে চলে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝেই কিছু চিত্রা হরিণ বিরক্ত হয়ে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। হঠাতই দেখি আমাদের ডিঙ্গির উপরে ঝুলে পড়া একটা কেওড়া গাছে মস্ত বড় এক অজগর সাপ আমাদের ঠিক মাথার উপর ঝুলছে। অজগরটা অন্য একটা নাম না জানা সাপ গিলছিল। আমি অজগরটা সবাইকে দেখাতেই সহযাত্রি কয়েকটা মেয়ে চিতকার করে নৌকো থেকে প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম করেছিল
এইসব নাম না জানা নদী বেয়ে আমরা চলে গিয়েছি সাগরের টানে
নদী-১
নদী-২
বন যতই গভীর হচ্ছিল তীরের দিকে ততই গোলপাতার জঙ্গলের দেখা মিলছিল।
গোলপাতা মাঝেই মাঝেই নড়ে উঠছিল আর আমরা এক্সাইটেড হচ্ছিলাম ব্যাঘ্র মামা দেখার আশায় (যদিও ব্যাগ্রমামা দেখেছিলাম আয়েসি ভঙ্গীতে নদী পাড় হচ্ছে কিন্তু হাতের কাছে কোন ক্যামেরা ছিল না
)
অতঃপর আমরা বনের গভীরে পৌঁছে যাই আর কান পেতে শুনি অজানা বুনো কথপকথন।
আমার পাগল বন্ধু্টি গোল ফলের লোভ সামলাতে না পেরে বাঘের পড়োয়া না করেই নেমে পড়ে গোল ফল ছিঁড়তে।
২য় দিন বিকেলে যখন কটকা বীচে জাহাজ নোঙ্গর করল আমি তখন মাস্তুলে বসে বিড়ি ধ্বংস করছিলাম (অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিসিদ্ধ )
কটকা বীচে জাহাজের সবাই বনের ভেতর ঢুকল আর আমি সারা গায়ে জ্বর আর এলার্জি নিয়ে বৃক্ষ গুড়ি গুনি
আমাদের গ্রুপের একাংশ
সময় স্বল্পতা আর পোষ্টের ওজনগত ট্রাবলের কারনে আর সামনে গেলাম না তবে কোনদিন হয়তো ভ্রমন কাহিনী আসতে পারে। ইম্মানে কই
সুন্দরবন তো সুন্দরইই
---
আপ্নে জৈনক মুরুব্বী না?
এই পোষ্টে খালি মাইনাস দিতেই মন্চায়।এই ব্লগে মাইনাস দেয়া যায় না। আফসুস।

তারপরেও বহুবছর পরে একখান পোষ্ট দিলেন বইলা ধইন্যাপাতা পাঠাইছি বাসায়।ছবিগুলা দেইখা..........
ছবি গুলোর সাইজ ঠিক করে দিন। দেখে মজা পেতে চাই। ৫০০ বাই ৩৩৩ ভাল সাইজ।
ছবি গুলোর সাইজ ঠিক করে দিন। দেখে মজা পেতে চাই। ৫০০ বাই ৩৩৩ ভাল সাইজ।
একবার দুবলার চরে সাতদিন ছিলাম মেজর জিয়ার বিখ্যাত কাঠের বাংলোয়। সারাদিন ট্রলারে করে ঘুরতাম আর জিয়া ভাইয়ের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা। অসাধারণ সাতটা দিন ছিল। মনে পড়লো সেই দিনগুলোর কথা।
দেশের প্রায় সব দর্শনীয় স্থানেই পদার্পণের সুযোগ ঘটেছে, শুধু সুন্দর বনে যাওয়া হয়নি, সোহেল কাজী, আপনার এই পো্স্ট সেই অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণের তাগিদটা আরো বাড়িয়ে দিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরুব্বী তো ভালাই মজা করলেন। কিন্তু সুন্দরবনে গেলে অ্যালার্জি হয় আপনেরই কেবল নাকি আরো কেউ আছে? এমন হইলে আমি আর যামুই না!
গোপন সুত্রে খবর পাইলাম আপ্নেও বলে খালি ঘুইরা বেড়াইতেছেন আর পাব্লিকরে সেই ছবি দেখাইয়া বেড়াইতাছেন।

ছবিগুলা লাইক্কর্লাম।
ছবি গুলা দেইখা ভাল লাগ্লো।একবার গেছিলাম সুন্দরবনে। রায়হান কেন যে সুন্দরবনে ভ্রমন কাহিনী নিয়া গল্প লেখেনাই।মুনে হইতাছে আর একবার যাইতে হইবো ।
মানুষের দিল জ্বালানোর চিন্তা যারা করে
সুন্দরবন বেড়াতে গেলে তাদের জ্বরে ধরে
:@ জ্বলে পুড়ে ছাই হলাম।।। একখান কপাল বটে আপনার।। আমাদের তো ফাটা কপাল.।। :'(
মন্তব্য করুন