কক্সবাজারে রোজার মাস - কি খাবি, কি খেতে চাস?
অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল আম্মাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যাবো। ভদ্রমহিলা জীবনে কোনও দিন সমুদ্র দেখেন নাই। ভাবলাম এই রোজাতে কাজের চাপ একটু কম! আবার বিভিন্ন হোটেলে / রিসোর্টে রমজানে বেশ ছাড়-টাড় দেয়! এটাও সুযোগ একটা বটে! আবার আবার আম্মার সাথে ভাই ফ্রি! তাই সব বিবেচনা করে দুইবার তারিখ পরিবর্তন করে ৭ এর রাতে রওনা দিলাম কক্স-এর উদ্দেশ্যে। সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস এর বাস- এবং সে আরেক ভিন্ন ইতিহাস! তবুও উপরওয়ালার অশেষ কৃপায় সকাল সকাল পৌছে গেলাম যেটা আশাতীত! উঠলাম বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ হোটেলে যেটা আমার মতে সাগরের তীর না হয়েও বেস্ট লোকেশন! বারান্দায় দাঁড়ালে সমুদ্র! আর সমুদ্রের গর্জন।
গুফনসূত্রের সন্ধানে
১.
- বৎস, তোমাকে একটি বই লিখিতে হইবে।
- জ্বি, আমার নাম বাৎসায়ন।
-বৎসয়ন , তোমাকে একটি বই লিখিতে হইবে।
- জ্বি, আমার নাম বাৎসায়ন।
- আরে তোরে একটা বই লিখতে কইতাছি, তোর নাম লিখতে কইতাছি না। দিলিতো সুশীল ভাষার ইলোকুয়েন্স নষ্ট কইরা, চোদনা।
-জ্বি, চোদনা ডাকলেও চলবে। আমার প্রিয় শব্দ।
- আবার, শুরু করছে... ডিম চিনস, ডিম?
- জ্বি, বলেন।
- এই পৃথিবী নিয়া আমার বড় আহলাদ ছিলরে।
- কি বলেন এইসব!! আহলাদ শেষ হয়া গেছেগা? সমাপ্তি আসন্ন??
- চুপ কর। পৃথিবী নিয়া আশা ছাইড়া দিছলাম। কিন্তু তারা আবার আলোর দিশা খুজে পেয়েছে। আমি পৃথিবীর ভাগ্যাকাশে উন্নয়নের রেখা দেখতে পাচ্ছি; রেখাটা কর্কটক্রান্তি রেখার মত ঠিক বাংলাদেশের উপর দিয়া গেছেরে ব্যাটা।
- তা ঐ রেখাটা বাকীদেরেও দেখায়ে দেন, ব্যাস।
- সেটাই চাচছিলাম, কিন্তু তারাতো উন্নয়নের সূত্র টা গুফন করে ফেলেছে।
- তো আমার কি করণীয়?
অণুজীবন
বৃষ্টির পর ঘরের জানালায় জলের ফোঁটারা খুব সুন্দর একটা টেক্সচার তৈরি করে। ঠিক যেন তোমার গভীর ছোঁয়া, হৃদয়ের নীল বন্দরে। আমি ভালো আছি। তোমার মালাখানি তুমি যাকে ইচ্ছে তাকে দিয়ো। আমার ভিতরে বাহিরে না হয় তুমি নাই বা থাকলে, জানালার কাঁচে বৃষ্টির ফোঁটা লেগে থাকুক সারা সকাল।
আমি কারো বিচ্ছেদের আগুনে পুড়ি না, কারো জন্য কবিতা লিখি না।
রাধারমনের গান যখন কেউ গায় তখন আমি শুধু শুনি। আজও কতো মানুষ ডেকে যায়, মনের আগুনে জ্বলে যায়, আমি তাই দেখি আমার বৃষ্টির ফোঁটা লেপটে থাকা জানালার কাঁচে চোখ রেখে।
জীবন বয়ে চলেছে ধৈর্যশীল নদীর মত, কোনো অভিযোগ নেই। কোনো চাওয়া নেই। কারো জন্য অপেক্ষা নেই। নিজের গভীরে ডুব দেবার মত একটা জীবন আমার নদীটা। আজ আকাশে ছড়িয়ে দেবার মত একটা হৃদয় আমার। যেখানে যাবার যাক, বাতাসের মত ভেসে যাক, সুতো কাটা ঘুড়ির মত উড়ে যাক।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
রকেট (ইংরেজি: Rocket) একটি বিশেষ ধরনের প্রচলন কৌশল। এটি এমন এক ধরনের যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে বের করে দেয়া হয় এবং এর ফলে উৎপন্ন ঘাতবলের কারণে রকেট বিপরীত দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হয়। এক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত হয়।
(সূত্র উইকিপিডিয়া)
ওয়ার্নার ভন ব্রাউন (মার্চ 23, 1912 - জুন 16, 1977) ছিলেন জার্মান রকেট সায়েন্টিস্ট, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ও স্পেস আর্কিটেক্ট । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আমেরিকার রকেট প্রযুক্তির উন্নয়নের এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ত্ব ছিলেন তিনি ।
(সূত্রঃ সামহোয়্যার ইন ব্লগ, ব্লগার আপেল বেচুম)।
আরে ‘অমুক’ কাজটা তুমিও পারবে, দিজ ইজ নট আ রকেট সায়েন্স!
আরে তুমি পারবে। এটা রকেট সায়েন্স না।
ফোর ইনটু ফোর হান্ড্রেড মিটার রিলের মত প্যারেড গ্রাউন্ডের কংক্রিটের দিন
পড়তে বসার সময় মনে হলো একটা গান না শুনলেই নয়। ইউটিউবে টাইপ করলাম ময়না গো। হাবিবেরটাই ছাড়লাম। মিউজিক ভিডিওতে দেশের রেল স্টেশন দেখে মনে পড়লো আমার গত ছয়টা বছর এলোমেলো ছুটে বেড়ানোর দিনগুলোর কথা। আর তাছাড়া হাবিবের শুরুর দিকের গানগুলোর সাথে আমাদের একটা অন্যরকম সম্পর্ক আছে। বরিশাল ক্যাডেট কলেজে দুহাজার চার থেকে দশ সময়টাতে যারা থেকেছে তারা জানে ডিসেম্বর মাসে অ্যাথলেটিক্সের দিনগুলোতে এইসব গানের কথা। মোয়াজ্জেম স্যার আর কলেজ কালচারার প্রিফেক্ট মাঠের ভিতরে একটা গোল ছাউনির ভিতর বসে মাইকে এটা সেটা ঘোষণা দিতো আর এই সব গান বাজাতো। ফোর ইনটু ফোর হান্ড্রেড মিটার রিলে দৌড় বা ম্যাডামদের পিলো পাসিং খেলা বা হয়তো কিছুই হচ্ছে না, কিন্তু মাইকে ঐ গানগুলো ঠিকই বাজছে। কি একটা কানেকশন যে হয়ে গেলো কিছু কিছু গানের সাথে, সত্যি অবাক করার মত একটা ব্যাপার। তখন আমি ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। লাইফ ভর্তি খালি মজা আর মজা।
খারাপ দিনের কথা
সোমবার।
একটা খারাপ দিন শুরু করার জন্য সকালে দেরি করে ওঠাই যথেষ্ট। একটা ক্লাসের অর্ধেকেরও বেশি মিস করার পরও কোনো রকম ব্রেকফাস্ট করে ক্লাসে ঢুকলাম।
দেখি যে এক্স গেট অ্যান্ড গেট পড়াচ্ছে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের জীবনে একটাই দিন থাকে যেদিন ক্লাসে প্রথম বার গেইট পড়ানো হয়। আর আমি সেইটা মিস করলাম। বেটার লেট দ্যান নেভার। সেই জন্য ক্লাসে গেসিলাম, গিয়ে দেখি সব শেষ।
কিন্ত আরও খারাপ ঘটনা ঘটতে হলো। এর পরে প্রোগ্রামিংয়ের ক্লাসটা সবকিছু আরও খারাপ করে দেবার সংকেত দিতে লাগলো, কিন্ত সেই সিগ্নাল আমি ধরতে পারি নাই।
বিকেল বেলা ম্যাথ টিউটোরিয়ালে টিউটর ছোকরা একগাদা কমপ্লেক্স ম্যাথ নিয়ে হাজির। প্রফেসর এতো কঠিন ম্যাথ করায় না, তবু সে এইসব ম্যাথ সামনে নিয়ে আসতে চায়। প্রফেসর শিখাইসে কেম্নে একটা বীজগানিতিক ফাংশনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান বের করতে হয়, যেইটা খুব একটা জটিল প্রক্রিয়া নয়, কিন্ত এই
পর্ণোগ্রাফিক প্রোফাইল
আইজ্যাক অসিমভের ৩ খন্ডের ফাউন্ডেশন সিরিজ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৫১-৫৩ সালে। ফাউন্ডেশনের প্রধান চরিত্র হ্যারি সেলডন " সাইকোহিস্টোরিক্যাল সমিকরন" সমাধান করে গ্যালাকটিক এম্পায়ারের উত্থান- বিস্তার এবং পতনের ভবিষ্যতবানী করেছিলেন।
সাইকোহিস্টোরিক্যাল এনালাইসিসের শর্ত বলছে একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডের সকল মানুষের সামষ্টিক ব্যবহার বিশ্লেষণ করে ঐতিহাসিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে সে মানবগোষ্ঠীর ঐতিহাসিক বিবর্তনের সম্পর্কে নির্ভুল ভবিষ্যতবানী করা সম্ভব। বৈজ্ঞানিক কল্প উপন্যাসের এই ধারণার সফল প্রয়োগ করেছে কেমব্রিজ এনালাইটিকা।
বুক পকেটে টুকে রাখা স্বরলিপি, পেছনের পকেটে রাখা সুর
অনেক দিন এমনও হয়, প্যান্টের পেছনের পকেটে এক টুকরো পাতায় একটা সুর নিয়ে ঘুরছি, সারা দিন কয়েকটা শব্দ ওলোট-পালোট করছি, ঘরে ফিরছি, দিন রাত বদল হচ্ছে, দৈনন্দিন কাজের তালিকার সারি দীর্ঘ হচ্ছে, ক্যালেন্ডারের পাতা বদলাচ্ছে, প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে খসখস আওয়াজ শুনে বের করে দেখছি- একটা টুকরো সুরের রঙ বদলে গেছে।
কিছু তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন অনুভব ধরে রাখা আলাদা আলাদা অনেকগুলো শব্দ, পারস্পর্য্যহীন, হয়তো অনেকটাই এলেমেলো, একটা সুরের বরশীতে গেঁথে ফেললে নিজস্ব অর্থ খুঁজে পায়। শব্দগুলোতে আলাদা স্বর থাকে, সুর থাকে না কোনো। হয়তো সুরের প্রত্যাশাও থাকে না সেভাবে।
সুখ যখন লেডোয়ার্ড ব্যারাকের পুরু দেয়ালের সঙ্গ
আমার সবকিছু এরকম ধূসর হয়ে যাবে তা জানতাম না আমি। কী করে লেখা যায় এই মলিনতার স্বরূপ আমি তাও জানি না। টেবিল ভরা আমার বই পত্র, ছুঁয়েও দেখিনি গত কয়েকদিনে, অথচ এই ছুটিতে সব পড়ে শেষ করার কথা।
আমার রান্না বান্না কে করে, কে আমার দাঁত মেজে দ্যায়, রুম গুছিয়ে দ্যায় আমি জানি না। আমি ঘড়িটার কাছে পরাজিত হই প্রতি সকালে। আমার সব কিছু ছিন্নভিন্ন।
বিছানা ছাড়া সবচেয়ে কঠিন কাজ এই জীবনে। রোজ দুপুর বেলা আলসেমির চুড়ান্ত রূপ দেখে তারপর বিছানা ছাড়ি। আর আমার রোজ রাতের প্রতিশ্রুতি সকাল সকাল বিছানা ছাড়ার।
এইসব করতে করতে এইভাবে আরও কত বছর বাঁচার আছে আমার? আমার এক কালীন বন্ধু বান্ধবেরা কে কেমন আছে কিছুই জানা হয় না। মাঝে মাঝে এক কালীন প্রেমিকার কথা ভাবি বিছানায় শুয়ে থেকে। সেই যে প্রেমিকাকে খুব ভালোবেসেছিলাম একদা, কেমন আছে এখন সে আর তার প্রেমিক? কেমন আছে ওদের ভালোবাসা? খুব ভালো ওরা। আর আমি সবচেয়ে অসভ্য।
আমাদের অজ্ঞতা, আমাদের মুগ্ধতা, আমাদের বিষ্ময়
নিবির নিষ্ঠায় খালি চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা নক্ষত্র কিংবা মৃত জ্যোতিস্ক দেখেছি। আমাদের প্রাচীন অগ্রজেরা অসংখ্য স্থির নক্ষত্রের পটভুমিতে যে ৭টি চলমান জ্যোতিস্ক দেখেছে (চন্দ্র- সূর্য, বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহঃস্পতি, শনি ) তাদের প্রত্যেককে এক একটা দিন উৎসর্গ করেছে। এসব নিয়মিত জ্যোতিস্কের সাথে তারা উল্কা, ধুমকেতু দেখেছে। প্রতিটি চলমান গ্রহ, গ্রহকণা, নক্ষত্রের সাথে নিজেদের চলমান সময়ের অনুভুতি মিশিয়ে অসংখ্য গল্প-গাঁথা নির্মাণ করেছে। মহাবিশ্ব বিষয়ে আমাদের প্রাচীন অগ্রজদের কোনো মুগ্ধতা ছিলো না, ছিলো ভীতিমিশ্রিত বিস্ময়।
জীবনে গেছে চলে
আমার ছোট বেলায় এইসব ছিলো না। সবকিছু অন্য রকম ছিলো। আমি কোনোদিন ভেবে দেখিনি কতোটা বদলে গেছে সবকিছু। একটা পড়ার টেবিলে তখন বই খাতা কলম পেন্সিল ছাড়া আর কিছু থাকতো না। হেডফোন নামের যে তারের জটলাটা আজকাল আমার পকেটে বা টেবিলে পড়ে থাকে সেটাকে মনে হত ধরা ছোঁয়ার বাইরের জগতের কোনো মহান আবিস্কার। কম্পিউটার বলে যে কিছু একটা তৈরি হবে এবং রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা সেটার সাথে আঠার মত লেগে থাকতে হবে- এটা কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি।
ইলেক্ট্রনিক্স বলতে ছিলো একটা ক্যাসেট প্লেয়ার। সেটাতে রেডিও ছিলো। কয়েক বছর পর এলো একটা টিভি। পাড়াপ্রতিবেশীদের বাড়িতেও ততদিনে টিভি চলে এসেছে। তখন একটা গান আমরা গাইতাম শুনতাম, ও আমার বন্ধু গো, চিরসাথী পথ চলার..।
রাতেরা আমার মতই নিঃসঙ্গ
তোমার ফোন নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস বাসার ঠিকানা সবই এখনও মনে আছে। মনে আছে বিকেলবেলায় এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো তোমার সাথে, তোমার হাতটা ধরার জন্য কেমন করতাম আমি, তোমার মনে আছে?
চায়ের দোকান, অলিগলি আর অজস্র রিকশার হুডেরা কি মনে রেখেছে আজও আমাদের প্রেম করার দিনগুলো? খুব সহজ ছিলো এ শহরের ভীড়ে আমাদের হারিয়ে যাওয়া, অথচ আমরা খুঁজতাম নিরিবিলি, চলে যেতে চাইতাম দূরে কোথাও, বহুদূরে।
আজ আমি কেমন আছি তুমি জানো? আজ আমি চাইলেই তোমাকে ফোন করতে পারি না, তোমার বাসার গলি অব্দি যেতে পারি না, আজকাল আমার কোনো ইচ্ছেরা ঠিক বেঁচে নেই। নিজেকে মৃত মনে হয়। ঠিক যেন মরণের ওপারে বসে লিখছি এইসব কথা।
উৎসব-উদযাপনে যৌনসন্ত্রাস: দায়-চাপানো ও দায়-অস্বীকারের রাজনীতি
৭ মার্চ ২০১৮। সারা ঢাকাজুড়ে বাংলাদেশের জন্মইতিহাসের এক মহাগৌরবময় দিন উদযাপনের নানা কলরব পর্যবেক্ষণ, পেশাগত জরুরি দায়িত্বপালন, অতিনগরায়িত শহরের বাড়তি যানজট ঠেলে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পর ফেইসবুকে ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়ে অদিতী বৈরাগীর উপর সংঘটিত গণযৌনসন্ত্রাসের ঘটনাটি। কলেজপড়ুয়া একটি কিশোরী মেয়ে তার উপর সংঘটিত নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ক্ষোভে, কষ্টে, ঘৃণায় লিখেছে-আমি এ শুয়োরের দেশে আর থাকবো না, জয় বাংলা বলে যারা মেয়ে মলেস্ট করে তাদের দেশে আমি থাকবো না, থাকবো না, থাকবো না।