ইউজার লগইন

আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ

শ্রদ্ধার্ঘ্য!

আজ আটাশে জুলাই। নিঃসন্দেহে গুরুত্বপুর্ন দিন। কারন আজ চারু মজুমদারকে হত্যা করার দিন, ছফার অকস্মাৎ প্রয়ান দিবস, বিখ্যাত সাংবাদিক শাহাদাত চৌধুরীর জন্মদিন। আরো হয়তো কিছু থাকতে পারে, যা আমার জানা নাই। জীবিত লোকদের আমার কেন জানি ভালো লাগে কম। মরে যাবার পরেই তার সমগ্রতাটুকু আমার চোখে ধরা পড়ে বেশি। এই যেমন ধরেন শামসুর রাহমানের কবিতা আগে আমার খুব বেশী ভালো লাগে নাই। কিন্তু যেদিন উনি মারা গেলেন, আমার প্রচন্ড মন খারাপ হলো। উনার বাসা যেহেতু কাছেই, যাওয়া যায় কি না ভাবছিলাম। কিন্তু আর যাওয়া হয় নি। বন্ধুর কাছ থেকে সংগ্রহ করলাম শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা নামে এক বই। তাই পড়ে গেলাম খুব মন দিয়ে। খুব বেশি কাব্য রস আস্বাদন- আমার মেধাতে নাই। তাও এক দুর্নিবার আকর্ষন অনুভব করলাম পাঠে। আমার এখনও মনে আছে পরের দিন সম্ভবত ছিলো শুক্রবার। চ্যানেল আইতে গোলাম মর্তুজার উপস্থাপনায় সকালের অনুষ্ঠানে আব্দুল মান্নান সৈয়দ ছিলো। লোকজন কতো বড় আবাল! অনেকেই লাইভ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা শুরু করলেন কবি কি ইসলামে বিশ্বাস করতেন?

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!

ইচ্ছা ছিলো আজ পোষ্ট লিখবো না। তাও লিখছি। কারন অনেকেই আজ আশায় আছে আমি পোষ্ট লিখবো। খাওয়া দাওয়া আড্ডাবাজি কেমন হলো তার গল্প জানাবো। এসব লিখতে এখন আর আমার ভালো লাগে না। কারন রাত জেগে পোস্ট লিখে ১ টি মন্তব্য যখন প্রথম পাতায় ঝুলে তখন তীব্র মেজাজ খারাপ ছাড়া আর কি হয়! মনে হয় কার জন্য এসব অযথা পোষ্ট নিরন্তর লিখে চলা? আমি কখনো শত সহস্র কমেন্টের জন্য লিখি না। লিখি মুলত নিজের কথা গুলো বলতে। আশাবাদ থাকে গোটা পাচ দশ কমেন্ট পাবো! তিন চারটা কমেন্টেও যখন লেখা নিয়া উৎসাহ, ভালোলাগা মন্দ লাগা জানতে পাই তাও ভালো লাগে। কিন্তু একটা দিনলিপি লিখে ১টি মন্তব্য প্রাপ্তি তা দেখে আজ আমার আসলেই মেজাজটা বিগড়ে গেলো। এখন বলতে পারেন তুমি কোন লেখা লিখো যে পড়ে কমেন্ট করতে হবে বাপু? ভালো কথা তাহলে আপনারা লিখেন! এই ব্লগে দিনের পর দিন পোস্ট আসে না তাই নিতান্তই ছাগলামী করে প্রতিদিন অযথা লিখে যাই। তার কারনে এখন প্রথম পাতায় আমারই গোটা চারেক পোষ্ট ঝুলে। আর লেখার ২০ ঘন্টা পরে যখন দেখি ১ টি মন্তব্য নিয়ে পোষ্ট ঝুলে তখন নিজেকেই অভিসম্পাত দেই কেন প্রতিদিন লিখে যাচ্ছি?

চেনা বাস চেনা রুট, চেনা রুটি বিস্কুট, চেনা চেনা চায়ের গেলাস!

কবীর সুমনের গান আমার সাংঘাতিক প্রিয়। এইটা নতুন কথা না। অনেক বার বলা কথা। কিন্তু কবীর সুমন কেন প্রিয় তার উত্তর আমার জানা নাই। তার অতি সাধারন সুরে অসাধারণ কথার সব গান যখনি শুনি মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কোন গানই আর মুখস্থ হয় না। বড়জোর প্রথম দুই চার লাইনই মনে থাকে। তারপর আর মনে নাই। শুনলে মনে পড়ে। অথচ আগে গান মুখস্থ করার প্রতিভা কত দারুন ছিলো। অজস্র গান এক দুইবার শুনেই হুবহু বলে দিতে পারতাম। এখন তা পারি না। তার ধারে কাছেও পারি না । তাই গান এখন স্রেফ শুনার জিনিস। কিছুই আর মনে করতে পারি না তেমন। খালি হেড়ে গলায় সুরটা মনে পড়ে কষ্ট বাড়াতে। এরকম সবারই হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় আমারটা আগে ভাগেই শুরু হলো। যাই হোক ব্যাপারটা জটিল কিছু না। এখনো যে শুনতে পারতেছি, ইউটিউব টা খোলা, ওলোর স্পিড দারুন তাতেই শুকরিয়া। জগজিৎ সিং গান গেয়ে গেছেন সেই কবেই ' বেশি কিছু আশা করা ভুল!'

'আহমদ ছফার সময়' বই থেকে নেয়া কিছু অংশ! (প্রথম পর্ব)

নাসির আলী মামুন সেলিব্রেটি মানুষ। সম্ভবত কোন বিখ্যাত কবি উনার নাম দিয়েছিলেন ক্যামেরার কবি। আল মাহমুদ থেকে শুরু করে ডক্টর ইউনুস, এস এম সুলতান থেকে শুরু করে শামসুর রাহমান, ছফা থেকে আব্দুল কাইয়্যুম সবার সাথেই উনার ব্যাপক দহরম মহরম। বাংলাদেশের জীবিত মৃত যত বিখ্যাত শিল্প সাহিত্য অর্থনীতি রাজনীতির মানুষ আছে তাদের বেশীর ভাগেরই কথামালা, ঘনিষ্টতা ও ছবির আর্কাইভ একমাত্র উনি। আহমদ ছফাও তার বাইরে না। বলা যায় ছফা ও সুলতানের সাথে তার ভাই সুলভ সম্পর্ক। তাই নাসির আলী মামুনের ব্যাবসা সফল ইন্টারভিউয়ের বই 'আহমদ ছফার সময়' গ্রন্থতেও সেই অন্তরঙ্গ আলাপের গন্ধ ও অন্য ধরনের প্রশ্নমালার ছড়াছড়ি। যদিও আহমদ ছফার সাক্ষাৎকার সমগ্র নামে একটা বই আছে। সেইটাও খুব ইন্টারেস্টিং। কিন্তু পাবলিক ভালো খাইছে নাসির আলী মামুনের বইটাই। তাই এই ২০১৩ র বই মেলায় বইটার ফোর্থ এডিশন বাজারে আসলো। যদিও বাজারে আহমদ ছফার সমগ্রর কাটতি ওতো ভালো না। তবে সন্দেশ ও খান বাদার্স মিলিয়ে বললে ব্যাবসাটা খারাপ না। সামনের মেলায় হয়তো খান ব্রাদার্স তার সেকেন্ড এডিশনে আরো কিছু যুক্ত করে আনবে বাজারে। নাসির আলী মামুনের বইটা শ্রাবন থেকে বের হওয়া। বইটার পে

একটা দিন চলে যায়, শুধু দিন কাটিয়ে দেয়ায়!

আজ শরীরটা কেন জানি ভালো নাই। বুঝতেছি না এর কারন কি? হয়তো ঘুমের ঘাটতিতেই। আজ প্রথম রোজার দিন - যেদিন আমি সকাল নটায় ঘুম থেকে উঠছি। উঠেই দেখি চোখ লাল টকটকে। মাথা ঝিম ঝিম করে এই হুট করে উঠার কারনে। তাও জোর করে হলেও উঠলাম। আর কত কাল ঘুমিয়ে কাটাবো? বের হলাম কাজ ছিলো ধানমন্ডীতে। ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে দেখি রাস্তা জুড়ে অগনিত ফাকা রিকশা। এতো ফাকা রিকশা কেনো ঢাকা শহরে? আধা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে তার হিসাব মেলাতে থাকি কেনো এতো রিকশা! হিসাব পানির মতো সহজ। ঈদের কারনে। বাকি ৬৩ জেলা থেকে মানুষ প্রতিদিন ঢুকছে তো ঢুকছেই। তাই ফাকা ও রাস্তা চেনে না এরকম রিকশাওয়ালার সংখ্যা এখন খুব বেশি। এদের দাবী একটাই চিনায়া নিয়া যান, যা ভাড়া তাই দিবেন। আমি এরকম চুক্তি পছন্দ করি না। কারন দেখা যায় গন্তব্যে আসার পরে এরা আবদার জানায় বলে মামা কম হয়ে গেলো না? আমি বলি তুমি তো রাস্তাই চিনো না, তাহলে কম বেশীর কি বুঝলা?

ঘুমিয়ে থাকাই ভালো!

রোজা উপলক্ষে ব্যাপক ঘুমাচ্ছি। বন্ধু আদনান আমার এই ঘুমের ফর্ম দেখে ইর্ষা করে বলে 'আছ তো মিয়া সুখে। সকাল আটটায় অফিসে যেতে হয় না। মোহাম্মদপুর থেকে বাড্ডা গেলে বুঝতা ঠেলা কারে কয়।' আমিও জবাব দিতে ভুলি না। 'মাস শেষে যে পচিশ ত্রিশের মতো বেতন পান সেই টাকা তো আর আমি পাই না। আমি তো ঘুমাবোই- বেকার ভাতায় চালাই মাস'। তবে আমি মোটেও ঘুম ভালোবাসি না। প্রয়োজনের চেয়েও কম ঘুমিয়ে দিন কাটাতেই ভালো লাগে। কাজ না থাকলে ঘুমের চেয়ে জেগে থাকাই আমার কাছে ভালো। বসে থাকতেও ভালো লাগে চুপচাপ। কিন্তু রোজা এসে সব ভন্ডুল করে দিলো। সেহেরীর পর ঘুম আসে না, ঘুম আসে পাচটায় উঠি ১টা-২টায়। দশটা পর্যন্ত গভীর ঘুম, তারপর ক্রমাগত ঝিমাতে থাকি। অর্ধ জাগ্রত অবস্থায় অনেক ভাবনা মাথায় আসে সাথে হালকা স্বপ্ন টপ্ন। স্বপ্ন গুলোও দিনলিপির মতোই সাধারণ। ওতো ভয়াবহ স্বপ্ন বা খুব সুখের স্বপ্ন কেন জানি দেখাই হয় না অনেকদিন। তবে ঘুমিয়েই চলছি। রোজা বলে এরকম একেকটা দিন শুধু ঘুমিয়ে কাটাতে কি অসস্তি লাগে তা উঠার পরে বুঝি। কেমন জানি পিঠে ব্যাথা ব্যাথা করে। ঘুমানোটাও তো কম পরিশ্রমের কাজ না । ছোটোবেলায় ঘুম থেকে উঠলেই আমার খিদে পেতো প্রচন্ড। এখনো সেই অভ্যাস

এই সব রোজকার দিনে!

মামা আজ বাসায় নাই। মামা থাকলেই যে প্রতিদিন চুটিয়ে আড্ডা দেই এমন না, তাও থাকলে ভালো লাগে। মনে হয় আমি একা নই। কিন্তু মামা যখনই থাকে না তখন মনে হয় একা একা দিন রাত্রি যাপন। কেমন জানি লাগে। খারাপ না আবার ভালোও না। আজ সকালেই ঘুমের ভেতরেই শুনলাম মামা বলতেছে গেলাম শান্ত। আমি ঘুমের ঘোরেই বললাম আচ্ছা মামা। এই সকালে ঘুমাতে আমার মোটেও ভালো লাগে না। রোজা বলেই ঘুমাই। নয়তো যে করেই হোক রাতেই ঘুমাতাম। সকালের ঘুমগুলো কেমন কেমন জানি!

অযথা প্রলাপ!

ভালো লাগছে না কিছুই। এমন কি এই ব্লগটা লিখতেও না। তাও কেনো লিখছি জানি না! লিখে হালকা হবার চেষ্টা। তবে চাইলেই কি আর হালকা হওয়া যায়, এইটাতো আর রোজা না যে কিছু কিছু কাজ কাম করলেই রোজা হালকা হবে, ঘুমালে টিভি দেখলেই কাজ সারা রোজা হালকা । মন হালকা করা খুব কঠিন কাজ। একবার সেখানে ক্লান্তি একঘেয়েমী ভর করলে সহজে মুক্তি নাই। অবশ্য আজ অনেকেরই সুখী সুখী মন খারাপ ছিলো। সবাই দুঃখ বিলাস করেই কাটালো। আমি শিউর এদের অনেকেই হূমায়ুন আহমেদ বেচে থাকলে কষে শুধু গালি দিতো, এখন তারাই ভক্তিবাদে আচ্ছন্ন করে রাখছে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে ফেসবুক। হুমায়ূন আহমেদ সবাই পড়ে। আমিও পড়ছি। অনেক লেখাই পড়ছি। কিনে পড়ছি, ধারে বই মেরে দিয়ে পড়ছি, টাইমের সাথে পাল্লা দিয়ে পড়ছি, সদ্য কিশোর পার হওয়া চোখ দিয়ে পড়ছি, সেই আমলে বেশীর ভাগই পড়ছি। কিন্তু তাই বলে সেই পড়াকে মহান কিছু মনে করি না কখনও। এবং আজকে এসে আমি তাকে মহান প্রমান করতে চাইও না। যখন পড়ছি তখন সময়ের প্রয়োজন ছিল, এখন পড়ি না কারন এখন সময়ের প্রয়োজন নাই। পড়ার মতো অনেক কিছু আছে তাই পড়ি না আর। ব্যাস এতোটুকুই।

বিস্রস্ত জর্নাল থেকে কিছু জার্নাল! (পর্ব ২)

আজ আমার মনটা খুব ভালো। ভালো থাকার অনেক কারন। প্রথম কারন পুরোনো কেসিংয়ে নতুন পিসির আগমন, মুজাহিদের ফাসীর রায়, আনন্দময় ক্লাস করতে পারা, দুইটা চায়ের দোকানে দুই সিরিজ দারুন আড্ডা, সব মিলিয়ে মন ভালো। তবে এতো দারুন ইফতারী খেয়েও পেটে কেমন জানি খিদা খিদা। এইটা আমি প্রায় সময় দেখছি প্রতি রোজায় বেশী খাই। সংযমের কোনো গন্ধ নাই কোথাও। সেহেরী আর ইফতারীতে এতো খাচ্ছি ক্লান্ত হই না মোটেও। সারাদিন চা খেতে পারি নাই এই দুঃখে এক সন্ধ্যাতেই চা খাই তিন চার কাপ। কপালে যা আছে আর কি! ঘুমেও সংযম নেই উঠি ১ টায়, ঘুমাই পাচটায়। রোজায় এতো ঘুমালে নাকি হালকা হয়ে যায় রোজা। কিন্তু কিবা করার আছে আমি তো অন্য কোনো সময় ঘুমাই না। তাই পুরো সকালটাই যা ঘুমাই। তবে এই অভ্যাস নিয়ে বাড়ীতে গেলে ঝাড়ি আছে নিশ্চিত। আম্মু যখন দেখবে সারা সকাল ঘুম, তখন বলে উঠবো এইভাবে রোজা রাখার মানে কি? তবে বাড়ি যাবো ঈদে, সবাই জিগেষ করে কবে যাবো? অনেকে বুদ্ধি দেয় আগেভাগে চলে যান। আমি বলে উঠি আগেভাগে কিভাবে যাবো? ক্লাস যে চলে!

আমার যে কি হবে!

কিছু লিখতে হবে। কিন্তু কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না আজ। আসলে প্রতিদিন একি জিনিস লিখতে চাইলেও লেখা আসে না। ভাবলাম সিনেমা নিয়ে লিখি তাও চিন্তা করলাম থাক, এইসব হিন্দী ছবি নিয়ে এতো লেখার কি-অন্য আরেকদিন লেখা যাবে। ভাবলাম মাহবুব মোর্শেদের সেলিম আল দীনকে নিয়ে লেখা বই গুরু চন্ডাল নিয়ে কিছু লিখি তাও ইচ্ছা করছে না। আবার ভাবলাম বিস্রস্ত জর্নাল থেকেই কিছু লাইন টুকে দেই তাতেও মন বসছে না। পেটে কেমন জানি খিদা খিদা। সেহেরীর জন্য অপেক্ষা। সেহেরী খেতেও ঢের দেরী। বাসায় হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল আছে পড়তে ইচ্ছা করছে না। পড়তে ইচ্ছা করতেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রবন্ধ সমগ্র ৬। পাচ পর্যন্ত আমার পড়া। কিন্তু তা পাবো কই?

এলো কি অসময়!

ভালো লাগছে না কিছুই। সাদামাটা বাঙ্গালী, ধর্মে মুসলমান, বেকুব কিসিমের মানুষ আমি। একটা দরিদ্রপ্রবন দেশে সাধারণ জীবন আমার। তাও মনের ভেতরে কিছু আশা ভরসা থাকে, স্বপ্ন থাকে তাই নিয়ে বসবাস। সেই স্বপ্নের যখন টুকরো টূকরো হতে দেখি তখন খুবই মন খারাপ হয় সবার মতো করেই। নিজের জীবন যাপন ক্যারিয়ার নিয়ে আমার তেমন বিশাল চাওয়া পাওয়া নাই। বেঁচে বর্তে গেলেই হলো। জীবনে অভাবের অন্ধকারে না পড়লেই হলো। কিন্তু দেশ নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন, অনেক আশাবাদ। সেই আশাবাদ থেকে আমি কখনোই পিছু হটি নাই। সবাই যখন দেশ নিয়ে ভাবনা করা ছেড়ে দেয় আমি তাও আমি ভেবে যাই। কিছুই তো করার হলো না জীবনে, না দেশের জন্য না নিজের জন্য তাই অত্যন্ত দেশ কে নিয়ে ভাবি। ভাবনা ছাড়া আমার মতো ইন্টোভার্ট বেক্কেলদের কিছুই আর করার নাই! এতো ভেবেও মনে সামান্য আশাবাদ ছিলো যে আজ ফাসীর রায় শুনবো। কিন্তু কিসের কি!

তানবীরা আপুর সারপ্রাইজ বার্থডের দিনে!

মনটা ভালো। ভালো থাকার অনেক কারন আছে একে একে বলি। প্রথম কারন বিসিএস সংশোধিত পাইকারী লিস্টেও নিজের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জ্বলজ্বল করতে দেখে, এশেজের এতো দারুন জমজমাট শুরু দেখে, অনাহুতের মতো তানবীরাআপুর বাসায় গিয়ে জন্মদিনের কেক ভক্ষণ ও আড্ডাবাজি, জ্যোতি আপুর সাথে রিকশায় দারুন আড্ডা, শেষে চায়ের দোকানে এসে এহতেশাম পুলক আমার মজার আড্ডা, বাসায় ঢূকেই তাজ্জব বনে যাওয়া মামার একদিন আগে ঢাকায় ফেরা, সব মিলিয়ে বাম্পার একটা দিন কাটলো। কালকেও বাম্পার দিন যাবার সম্ভাবনা আছে, যদি গোলাম আজমকে ফাসি দেয়। আমার মনের ভেতরে কিছুটা সন্দেহ, তাও আশা করছি আল মাহবুবের কাচ্চি খেয়েই রাতের খাবার হিসাবে উদযাপন করবো। দেখা যাক কী হয়! আগের মতো সেই খুশী খুশী ভাব নাই। কারন কাদের মোল্লার ফাসীর আপিলের খবর নাই, সাঈদীর রায় কার্যকর হবার খবর নাই, এখনো ঢিলে তালে চলতেছে অনান্য কার্যক্রম তাতে সন্দেহ অবিশ্বাস হবেই। আর নির্বাচন পরের বছরেই, তাই পলিটিক্যাল কারসাজি মুলক আপোষের ব্যাপার স্যাপার তো থাকেই। দেখা যাক কী হয়, ফেসবুকের ভাষায় বলি ফিলিং হোপফুল!

বিস্রস্ত জর্নাল থেকে কিছু জার্নাল!

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ লিখিত সব বই পড়া না হলেও মোটামুটি ভালোই পড়া। উনার লেখা পড়লে কেমন জানি শান্তি লাগে। সেই শান্তির উৎস খুজতে গেলে প্রথমেই পাই তার বর্নাঢ্য টেলিভিশন উপস্থাপনার কারনে চেনাজানার ইতিহাস। আমার এক বন্ধু ছিলো নাম নাসরীন। সে থাকতো আমাদের বাসার উপরের তালা। মেয়েটা অসাধারণ পরিশ্রমী ছিলো। কাক ডাকা ভোরে উঠতো তখন থেকেই এই ক্লাস নাইন টেনের বই গিলে খেতো। আমার আম্মু তার চেয়ারের আওয়াজ শুনে চিন্তায় পড়ে যেতো যে মেয়েটা কতো ভোরে উঠে আর তুই ঘুমাস। আমাকেও উঠিয়ে দিতো। কলোনীতে উপর নিচে বাসা থাকার কারনে যাতায়াত ছিলো না চাইতেই। ফেসবুকের কল্যানে কিছুদিন আগে দেখলাম এক প্রাইভেট ভার্সিটিতে জয়েন করছে লেকচারার হিসেবে। বিয়েও করছে। বন্ধুদের সফল জীবন দেখলে কেমন কেমন জানি লাগে। যাই হোক ও আমার কাছ থেকে প্রচুর বই নিতো। আমার বাসা তখন হুমায়ুন, মানিক, শরতের বইয়ের ফ্যাক্টরী। ধার দিতাম অকাতরে। আমাদের এক টিচার ছিলো নাম ভুলে গেছি। চেহারা ছিলো পুরো নায়ক আলেকজেন্ডার বো এর মতো। সেই নামেই ডাকতাম স্যারকে। প্রাইভেটে নাসরীন সব সময় ফার্স্ট হতো, আর পেতো বই। একবার পেলো আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের আমার উপস্থাপক জীবন। স্যারের কাছ থেকে

বন্ধু বাৎসল্যের এই দিন রাত্রিতে!

মনটা কেমন জানি এলোমেলো। ভালো লাগছে না কিছুই। এরকম হবার কথা না কিন্তু হচ্ছে। এরকম হবার কথা না কারন খুব দারুন সময় গেছে আজ। তাও ভালো লাগছে না কিছুই। এশার নামায পড়তে ইচ্ছা করলো না তাই পড়া হয় নাই। আমি সবসময় এরকমই। ইচ্ছা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেই। হতে পারে এখন ইচ্ছে করেই মন খারাপ। খুজে টুজে মন খারাপের একটা কারনই পেলাম বন্ধু সোহেলে চলে যাওয়া। সাত আট দিন যে কিভাবে চলে গেলো টেরই পেলাম না। এমনই হয়। বন্ধুরা বারবার আসে থেকে যায়, যাবার সময় অনিবার্য মন খারাপ হয়। অথচ মন খারাপের কোনো কারন নাই। ঢাকাতে আসলে আমার এখানেই আস্তানা গাড়বে। আর নানান ব্যাংকের এক্সাম দিতে ঢাকাতে আসতেই হবে এখন। তাও প্রতিবারই যখন চলে যায় তখন তীব্র মন খারাপ হয়। তখন চিটাগাংয়ে না থাকতে পারার কস্ট মনে আকুপাকু করে। মনে হয় শ্যামলী নন এসি বাসে বন্ধুর সাথে রওনা দেই এক কাপড়েই। কিন্তু তা আর হয় না। হয় না তার কারন আর যেতে ইচ্ছা করে না বেহুদা। আর গেলে তো ফিরতে হবেই। অনন্ত ৩-৪ মাস না থাকলে চিটাগাংয়ের প্রতি বিরক্ত লাগবে না মনে হয়। কিন্তু এই ছয় সাত দিনের জন্যে যেয়ে অযথা মায়া বাড়ানো। এতো মায়া আর ভালো লাগে না। তাই আমার আর যাওয়া হয় না। এমন রোজার দিনে চি

দিন চলে যায় হাওয়ায় মিশে!

কাজ ছিলো না তেমন বসেই ছিলাম বাসায়। রোজার দিন আমি রাতে ইফতারীর পর কিছু খাই না একেবারে সেহেরী। পড়ছিলাম বসে বই নাম তার একাত্তরের বিশটি ভয়াবহ যুদ্ধ। মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি লিখিত। বইটা কিশোরদের জন্য লেখা। বিশটি যুদ্ধের সহজ বিবরন। তবে বইটার সব চেয়ে ভালো জিনিস হলো প্রতিটা যুদ্ধের ম্যাপ দেয়া, একটা সাধারণ ভুমিকা লেখা, কে কে যুদ্ধে কি অবদান রেখে ছিলো তার সরল বিবরন। গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় নি। দেখানো হয় নি যুদ্ধের করুন পরিস্থিতি। স্রেফ মিলিটারী স্টাইলের ব্রিফিংয়ের মতো লাগবে পড়তে। আরো লাগবে যোদ্ধাদের অতি দেশ ও ধর্ম প্রেমের বয়ান। এতোটুকুই। তবে বইটা সফল বলতে হবে। তিনটা মুদ্রন অলরেডী পাবলিশড। এই ধরনের বইয়ের এতোটুকুই প্রয়োজন যে বাঙ্গালীর অসম সাহসিকতা আর দেশ প্রেমের গল্প থাকে দারুন ভাবে। কিন্তু যুদ্ধ যে কতো বিশাল ব্যাপার তার গভীরে যাওয়ার পথ থাকে না। এরকম আমি আরো অনেক বই দেখছি যেখানে শুধু আহত নিহত আর অস্ত্রের হিসাব লিখে দেয়া। কিন্তু যুদ্ধ যে একটা মানবেতর বিষয় এখানে মানুষের জীবন কতোটা অনিশ্চিত তার হিসাব থাকে না তেমন।গনহত্যা ও নৃশংসতার ছবি অনেকটা দায়সারা ভাবেই দেখা হয়। আহমদ ছফার একটা দারুন স্মৃতি কথা