মেসবাহ য়াযাদ'এর ব্লগ
বছরে ২৫ হাজার টাকার সিগারেট...
সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম ৮৪ সালের শেষের দিকে। সবেমাত্র কলেজে উঠেছি। নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ। নাবালক থেকে বালক হয়েছি। বই- খাতা নিয়ে কলেজে যেতে হয়না। পোষাকের ব্যাপারে তেমন কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম ছিল না। ৩২ ইঞ্চি ঢোলা প্যান্টের সাথে প্রায় ৩ ইঞ্চি উঁচু হিল। টাইট শার্ট। সে শার্টের আবার কলার বেশ বড়। এই ছিল সে আমলের ফ্যাশন। কলেজে যাবার সময় মা ৫/১০ টাকা দিতেন। আমরা তখন নারায়ণগঞ্জে। কিল্লারপুলের ড্রেজার কলোনীতে থাকি। কলেজে যেতে রিকশা ভাড়া ছিল ২ টাকা। কলোনীর আরেক বন্ধুর সাথে যেতাম শেয়ারে। যাওয়ার ভাড়া আমি দিলে আসার ভাড়া ও দিত। ওর নাম ছিল বাবু। বাবু এখন আর্মিতে। ১৫ লং কোর্চে পরীক্ষা দিয়ে আমি মারলাম ফেল। পরেরবার ১৬ তে পরীক্ষা দিয়ে বাবু পাশ করল। ও এখন কর্ণেল।
এলেবেলে নামগুলো
(নিকোলাসের নাম কীর্তণ লেখাটা পড়ে...)
আমার দেখা, শোনা এবং পরিচিত অনেক মানুষ আছেন- যারা অদ্ভুত কিছু নাম নিয়ে চলাফেরা করছেন। এসব নাম শুনলে, নামের পেছনের মানুষটাকে না চিনলে আপনার পক্ষে বোঝা মুশকিল হবে যে- সে পুরুষ না মহিলা। এসব নাম সংক্রান্ত একটি লেখা বোধ করি অনেকদিন আগে কোথাও লিখেছিলাম। এ মূহুর্ত্যে ঠিক মনে করতে পারছিনা।
জীবন কড়চা
বই মেলা কড়চা নামে একটা সিরিজ লেখা চালু করেছিলাম ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে। খুব ইচ্ছে ছিল- সিরিজটি নিয়মিত করা। এক দুই দিন বাদে সব দিনই বই মেলায় গিয়েছিলাম। ২৯ টি পর্ব লেখার ইচ্ছে থাকলেও ১৭ পর্ব লেখার পর বন্ধ করে দিলাম। এই পর্বগুলো লিখতে যেয়ে আমাকে প্রায় প্রতিদিনই রাত ১/২ টা পর্যন্ত নেটে থাকতে হয়েছে। একসময় মনে হল আর লিখবো না। সে সময়টার কোন একদিন আমার কোনো এক কারনে এতটাই অভিমান হয়েছিল যে, লিখা বন্ধ করে দিলাম। ভাল করেছি কী মন্দ করেছি- সেটা জানিনা। তবে আজ নিঃসংকোচে বলতে পারি, সিরিজটা বন্ধ করে দেবার পর আমার খুব খারাপ লেগেছে। অনেকের অনুরোধ স্বত্তেও আর লিখিনি। আমি কি একটু বেশি অভিমানী বা জেদী ?
পেরেশানীময় জীবন-যাপন
বহুত পেরেশানীর মধ্যে আছি। এতটাই পেরেশানী যে, এবার ঘুড়ি উৎসবেও যেতে পারছিনা। এটি আমাদের ছবির হাটের ৮ম ঘুড়ি উৎসব। প্রতিটি উৎসবের সাথে আমার সম্পৃক্ততা থাকে। সেটা এক্কেবারে এ.এম/ পি.এম। আরে মশাই, এ.এম/ পি.এম বুঝলেন না ? এ.এম মানে হচ্ছে- আপাদমস্তক। আর পি.এম মানে- পা থেকে মাথা। মানে ঘুড়ি উৎসবের সব পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের সাথে আমি থাকি। এবারও ছিলাম। শেষের দিকে এসে পারিবারিক ঝামেলায় এতটাই আস্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলাম যে, যেতেই পারছিনা আর।
ম্যুরাল: পোস্টমর্টেম
ম্যুরাল নিয়ে রিভিউ দেবার কথা অনেকেরই। লক্ষ্য করলাম- এ বলে বি কে। বি বলে সি কে। সি বলে ডি কে। আর ডি বলে এ কে...। ফলাফল: ১০ তারিখে ম্যুরাল মেলায় আসার পরও আমরা এবির পাতায় ম্যুরালের কোনো রিভিউ দেখতে পাই নাই। তাই আল্লার নাম নিয়ে আমি বসে গেলাম লিখতে।
ভালো দিক:
ম্যুরালের অনেক অনেক কটি ভালো দিক আছে। তারমধ্যে উল্লেখ করার মত হলো-
১. বেশ কটি ব্লগ সংকলন এবার বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে লেখার গুনগত মানে ম্যুরাল সেরা বলে আমি মনে করি
২. ফর্মা হিসাবে ম্যুরালের মূল্য মেলায় প্রকাশিত অন্য বইয়ের তুলনায় কম
৩. ম্যুরালে প্রকাশিত নুরুজ্জামান মানিকের- ১৯৭১: ডিসেম্বরের দিনগুলি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এক অনন্য দলিল। শুধু এই লেখাটি আরো বিস্তারিত করলে এটি দিয়েই একটি বই বের করা যেত
সেদিনের সেই মেয়েটি
২০০১ সালে আমি উত্তরাতে একটা সাইবার ক্যাফে চালাতাম। তখন ঢাকা শহরে সাইবার ক্যাফে ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। সেসব সাইবার ক্যাফেতে লোকজন ঘন্টা হিসাবে নেট ব্যবহার করত। প্রথমে আমরা শুরু করেছিলাম- ঘন্টা ৬০ টাকা হিসাবে। তবে যে কাউকেই ৩০ মিনিট কমপক্ষে ব্যবহার করতে হত। বা বলা চলে সর্বনিম্ন ব্যবহারকারীকে ৩০ টাকা দিতে হত। তারপর খুব দ্রুতই ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে সাইবার ক্যাফেতে। সর্বশেষ ২০০২ সালে আমি যখন সাইবার ক্যাফে ছেড়ে দেই তখন ঘন্টা প্রতি ব্যবহার কারীকে দিতে হত ১৫ থেকে ২০ টাকা। সে সময়কার একদিনের ঘটনা মনে পড়ল আজ...
আমি আমার মতই থাকতে চাই...
আজকাল মেজাজ ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমার সরলতা বা আন্তরিকতাকে যদি কেউ দুর্বলতা মনে করে- সেটা তার সমস্যা। তার জন্য আমার পূর্ণ সহানুভুতি আর করুণা রইলো। আমি মানুষটা এমনই। ইচ্ছে করলেও এই আমি'কে এখন আর বদলাতে পারব না। আর বদলানোর প্রয়োজনটাই বা কী ! আমাকে যারা জানে, চিনে তারাতো এই আমিকেই চিনে। নতুন কেউ হলে সেটা নাহয় মেনে নেয়া যায়।
সাধারনত আমি কারো সাথে মেজাজ করিনা। খুব সহজে ক্ষেপি না। কঠিন অবস্থায় ও মেজাজ কী করে ঠান্ডা রাখতে হয়- সেটা আমার ভালোই জানা আছে। এটা সম্ভব হয়েছে- অনেক বছর সেলস-এ কাজ করার সুবাদে। আমার ব্যবহার খারাপ- এটা আমার শত্রুও বলতে পারবে না। ভুল বললাম মনে হয়। বলতে পারবে- তবে প্রমান করতে পারবে না। কাছের মানুষদের সাথে প্রায়ই ঝাড়ি মেরে কথা বলি। ধমক দেই। এমনিতেই। এটা আমার চরিত্রের একটা বিশেষ দিক। যাদের খুব আপন মনে হয়- তাদের সাথেই শুধু এরকম আচরন করি। সবার সাথে না।
বই মেলা কড়চা- ১৭
এক ভদ্রলোকের সাথে আজ বিকেল তিনটার সময় আমার একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। ঢাকার বাইরে মানে উত্তরায়। উত্তরাকে আমরা ঢাকার বাইরে বলেই জ্ঞান করি। বিশেষ কিছু শ্রেণীর লোকজনই সাধারনত উত্তরা এলাকায় থাকেন। এর মধ্যে:
যাদের নিজেদের/বাবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে
যাদের কর্মস্থল বা ব্যবসা উত্তরা, টঙ্গী বা গুলশান এলাকায়
যারা তুলনামূলক কম ভাড়ায় বড় বাসায় থাকতে চান...
বই মেলা কড়চা- ১৬
সকাল থেকেই আকাশ কেমন জানি বিষন্ন। মুখ গোমরা করে রেখেছে। সকালে যথারীতি ৭ টায় উঠতে হল। এমন দিনে এত্ত সকালে উঠার চেয়ে কষ্টকর আর কী হতে পারে। উপায় নেই, গোলাম হোসেন। ছেলের স্কুল বলে কথা। মাঝে মধ্যে সকালে উঠার আলস্যে ছেলের মা'কে বলি-
কী হবে একদিন ছেলে স্কুলে না গেলে... ?
তিনি বুঝতে পারেন সব। ছেলেকে দাবড়ানি দিয়ে ততক্ষণে উঠিয়ে তৈরি করে দিয়েছেন। গোশসা করে বলেন-
ঠিক আছে, তুমি ঘুমাও। আমি ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি...
বই মেলা কড়চা- ১৫
মেলায় ঢোকার আগে ভাবলাম, এক কাপ চা খেয়ে যাই। সে মোতাবেক ব্যাচেলার কোয়াটারের দিকে রওয়ানা হলাম। এটি হচ্ছে- দোয়েল চত্তর থেকে মেলার দিকে রওয়ানা হলে প্রথম যে গেটটি পড়বে- তার পাশেই। এখানে মেলার সময়টাতে বিকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চা ছাড়াও ভাজাপোড়া যেমন- আলুর চপ, পাকুরা, বেগুনি, পুরি, পিঁয়াজু এসব পাওয়া যায় গরম গরম। বিড়িতো পাওয়া যায়ই। আমি যেহেতু টিএসসির দিক থেকে যাই- সেহেতু প্রথমে আমাকে RAB ভাইদের স্টলটা পার হয়ে যেতে হয়। সেখানে প্রতিদিন দেখি কয়েকজন RAB সদস্য বসে থাকেন বেশ গম্ভীর ভাবে। ওদের স্টলে একটা বড় সড় টেলিভিশন আছে। সেখানে তাদের নিজেদের কর্মকান্ডের কিছু চালচিত্র দেখানো হয়। যাতে এসব দেখে তারা অনুপ্রানিত হয়। লক্ষ্য করলাম, মাশাল্লাহ তারা বেশ মনযোগ দিয়েই সেসব দেখেন। আর তাদের স্টলের পাশ দিয়ে যাবার সময় মানুষজনের দিকে রক্ত হিম করা দৃষ্টিতে তাকান...। রাতের বেলাতেও এদের অনেকের চোখে কালো সানগ্লাস দেখে আ
বই মেলা কড়চা- ১৪
গতকাল ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসার দিন। মানে স্বীকৃতভাবে এদিনে যার সাথে যত খুশি ভালবাসাবাসি করা যাবে। এই ভালবাসার দিন বা ভ্যালেন্টাইনস ডে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তোলেন (আমার যদ্দুর মনে পড়ে) শফিক রেহমান। অত্যন্ত রোমান্টিক এ মানুষটি যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করেন। যাতে তিনি জানান দেন যে, ভালোবাসার জন্যও একটা স্পেশাল দিন আছে। সারা বিশ্বে সেটা পালন করা হয়। এদিনে প্রিয় মানুষটিকে/পছন্দের মানুষটিকে 'তোমাকে ভালোবাসি' বলা হয়- অনুষ্ঠানিক ভাবে। তার পছন্দের উপহার সামগ্রীও কিনে দেয়া হয়। এ ভালোবাসার মানুষটি যে প্রেমিক বা প্রেমিকা হতেই হবে তা নয়। ভালোবাসার যে কোনো একজন হলেই হবে। মা-বাবা- ভাই-বোন-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা- বন্ধু...।
বই মেলা কড়চা- ১৩
আজ পয়লা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। সকাল বেলায় ঘুম ভেঙ্গেছে একটি মৃত্যু সংবাদ দিয়ে। এমনিতেই নানাবিধ কারনে মন ভাল নেই। পরশু রাতের কোনো এক সময়ে সাগর আর রুনি খুন হয়েছে নিজের বাসায়। তার ধকল সামলানোর আগেই আজ আবার মৃত্যু সংবাদ! এ যেনো একটি নক্ষত্রের পতন হল। এক সময়ের মঞ্চ কাঁপানো অভিনেতা, তারপর টেলিভিশন নাটক, এরপর বাংলা সিনেমা- সব জায়গাতেই ছিল তার অদম্য বিচরন। অভিনয় শিল্পীর তো অভাব নেই এদেশে, অথচ তাঁর মত অভিনেতা হাতে গোনা যাবে...। কত যুগ পরে আবার এরকম একজন অভিনেতার জন্ম হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা, বলা মুশকিল। বলছিলাম হুমায়ুন ফরিদীর কথা। পরম করুনাময় তাঁর আত্মার শান্তি দিক...
বই মেলা কড়চা- ১২
মাত্র এক দিনের ভেতর শেষ হয়ে গেল ম্যুরাল প্রথম সংস্করন। সবাইকে বার বার করে বলেছি- বেশি করে বই ছাপাই। না, ওরা রাজি হল না। বলল, এত বই কিনবে কে ? এখন বুঝ মজাটা। আবার প্রেসে দৌড়াও। কাগজ কিনো। আবার কভার ছাপ। ভাগ্যিস, মেশিন খালি পাওয়া গিয়েছিল। তো, এত সব কাজ করবে কে ? কে আবার ! যখনই কোথাও আটকে যাবে, তখনতো একজন আছেই...। এই একজনটা কে, সেটা আর ঘটা করে বলার কি দরকার আছে ? তারপরও...। সেতো মানুষ একজনই। তারতো আর মা দূর্গার মত ১০ টি হাত নেই। সুতরাং তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন- লীনা দিলরুবা, জয়িতা, গৌতম আর শুভ। গতকালই ছাপা হয়েছে ২য় সংস্করন। আজ বাঁধাই করতে দেয়া হল...। প্রেসের সেলিম মিয়া ভরসা দিয়েছেন- কাল (সোম বার) দুপুরের পর পাওয়া যাবে নতুন ম্যুরাল।
বই মেলা কড়চা- ১১
আজ কড়চায় কিসস্যু লিখবো না।
আমার প্রিয় ছোট ভাই সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হল গতকাল রাতের কোন এক সময়।
ওদের ৫ বছরের ছেলে মেঘ এখন কী করবে ? আমরা কী করব ? আমাদের কী করণীয়... উত্তর একটাই জানিনা। আমরা, রাষ্ট্র কেউ আসলে জানিনা, কার কী করনীয়...।
বিধাতার কাছে ওদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
রাষ্ট্র বা সরকার বা পুলিশ বাহিনীর কাছে কিছু চাইবার নেই...
ওদেরকে স্মরন করে ওদেরই প্রিয় কয়েকজন মানুষের ফেইস বুক থেকে লেখাগুলো তুলে দিলাম...
১. মানতে পারছি না। বুক ভেঙে যাচ্ছে...।
আমাদের সামনেই বড় হলে তোমরা... সাংবাদিকতা শুরু করলে... ঘর বাঁধলে... বিদেশ গেলে... ফিরে এলে... তারপর এভাবে চলে গেলে...!
এভাবে চলে যাওয়া মানা যায় না। - গিয়াস আহমেদ
বই মেলা কড়চা- ১০
আজ আমার অনেক মন খারাপ। জীবনে এমন ধরা খাইনি। গত কদিন ধরে লোকজনকে মজা করে মুরগা বানিয়েছি। সেটা ছিল নেহায়েতই মজা। আর এ মজা দেখে বিধাতা পুরুষ বোধ করি আড়ালে বসে হেসেছিলেন। তিনি আমাকে এমন ধরা খাওয়ালেন যে, সেটা সহ্য করা বড় কঠিন। সামলে ওঠার চেষ্টা করছি...।
বাংলাদেশের বিশেষ একটি জেলার লোকজন আমার না-পছন্দ। অবশেষে সে বিশেষ জেলার একজনের পাল্লায় পড়েছি। আমার যদি বৌ আর দুটো ছেলে না থাকত, তাহলে জীবনের প্রতি এত মায়া থাকত না। আর তাইলে কালকের সব পত্রিকার শিরোনাম হতে পারতাম- একজন খুনি হিসাবে।
নিজের সম্পর্কে আমার যা ধারণা, আমি নিজে যা তা আমার প্রোফাইলে লিখে রেখেছি অনেকদিন আগে। সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে দিলাম আজকের কড়চায়-
মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকার সম্ভাবনা আছে জেনেও আমি মানুষকে বিশ্বাস করি এবং ঠকি। গড় অণুপাতে আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা...